বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে আগৈলঝাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নিহতের স্ত্রীর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মাজহার ইসলাম।
নিহত গৃহবধূর মা ফুল মালা হালদারের বরাত দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মাজহার ইসলাম জানান, গত ১০ বছর আগে উপজেলার আস্কড় গ্রামের অমৃত হালদারের মেয়ে মিতালী হালদারের (২৮) সঙ্গে একই উপজেলার থানেশ্বর কাঠী গ্রামের মৃত নির্মল বৈদ্যর ছেলে মিন্টু বৈদ্যর প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কিন্তু সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে অন্য এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিষয়টি গৃহবধূ মিতালী জানার পর স্বামীকে বাধা দিলে বাড়ে নির্যাতনের মাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলে ওই গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় স্বামীসহ পরিবারের লোকজন। পুলিশ পরিদর্শক আরও জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা বাদী হয়ে মিতালী হালদারের স্বামী মিন্টু বৈদ্য ও শাশুড়ি পুষ্প বৈদ্যের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।